en

হাঁস পালন হতে পারে উপার্জনের বড় মাধ্যম। হাঁস পালনের নিয়ম

নদীমাতৃক বাংলাদেশে জল সম্পদ ব্যবহার করে অর্থনীতিক সমৃদ্ধি অর্জন করার জন্য হাস পালন হতে পারে একটি বড় মাধ্যম। সারা দেশে মাংসের চাহিদা মেটানোর জন্য অনেক পোল্ট্রি ফার্ম রয়েছে। পোল্ট্রি ফার্মে অনেক বেশি রোগ হয় যাতে লোকসানের সম্ভাবনা অনেক বেশী। সেজন্য হাস হতে পারে বিকল্প। হাসের চাষ করে আমাদের দেশের অনেক মানুষ স্বাবলম্বী হয়েছেন। হাঁস চাষ করার সুবিধা অসুবিধাসহ একটি পূর্ণাঙ্গ হিসাব তুলে ধরা হল।কেন হাস পালন করবেন:
১. হাসের মাংসের চাহিদা অনেক বেশী।
২. হাসের মাংসের ভাল দাম পাওয়া যায়।
৩. হাসের মাংস খেতে সুস্বাদু।
৪. হাসের মাংসে উন্নত মানের আমিষ পাওয়া যায়। হাস চাসের মাধ্যমে আমিষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।
৫. হাস দ্রুত বর্ধনশীল।
৬. হাসের বাজারজাতকরন পদ্ধতি সহজ।

হাসের জাত সংগ্রহ: নিকটবর্তী যে কোন হাস প্রজনন কেন্দ্র থেকে হাসের জাত সংগ্রহ করতে পারেন। অবশ্যই রোগ মুক্ত জাত সংগ্রহ করবেন। ২-৩ সপ্তাহের বাচ্ছা ক্রয় করুন। প্রতিটি বাচ্ছার সম্ভাব্য ক্রয় মূল্য ২০-৩০ টাকা।


বাসস্থান তৈরি: হাসের বাসস্থান তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারন হাসের অধিকাংশ রোগই হয়ে থাকে অপরিষ্কার বাসস্থান এবং ময়লাযুক্ত খাবারের জন্য। হাসের জন্য বাড়ীতে আলোময় জায়গায় ঘর নির্মাণ করা উত্তম। তাহলে রোগজীবাণু কম এবং হাসের বৃদ্ধি ভাল হয়। এতে বাসস্থান তৈরির খরচ কম লাগে। তাছারা সমন্বিত মাছ এবং হাস চাস পদ্ধতিতে পানির উপর ভাসমান বাসস্থান তৈরি করা অনেক কম খরচের এবং ঘন ঘন মেরামত করতে হয় না। ড্রামের ওপর মাচা তৈরি করে বড় আকারের বাসস্থান তৈরি করা যায়। এ ধরনের বাসস্থানে পর্যাপ্ত আলো বাতাস পাওয়া যায়। বন্যা পরিস্থিতিতেও কোন সমস্যা হয় না। ভাসমান বাসস্থানে হাসের বর্জ্য সরাসরি পানিতে চলে যায় তাই পরিষ্কার করা অনেক সহজ।

আরও পড়ুন:-

কপিরাইট © ২০১৮ রংতুলি চয়েস ইনফো