en

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনবদ্য সব কবিতা এবং রচনাবলী

আমার পরাণ যাহা চায় তুমি তাই তাই গো, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর! বাংলা ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি। বাঙ্গালি জীবনের কথা, প্রেম, প্রণয়, ভালবাসা তথা প্রত্যেকটা বিষয় কাব্যিক ঢঙে ফুটিয়ে তুলেছেন তার অসংখ্য কবিতা, গান, গল্প এবং উপন্যাসের মাধ্যমে। বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদকে টিকিয়ে রাখার জন্য সারা জীবন চেষ্টা করে গিয়েছেন। বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদ বিরোধী যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরদ্ধে তিনি সবসময় সোচ্চার ছিলেন। বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদ বিরোধী সবধরনের অপচেষ্টা প্রতিহত করেছেন তার লেখনীর মাধ্যমে। ১৯০৫ সালে যখন বাংলাকে ভেঙ্গে দেয়া হয়েছিল তখনও কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিবাদ করেছিলেন।বঙ্গবঙ্গের প্রতিবাদে কবি "আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি" সহ আরও অনেক গান কবিতা লিখেছেন। তার লেখনী বঙ্গবঙ্গ রদ আন্দোলনকে গতিশীল করেছিল যার ফলশ্রুতিতে ১৯১১ সালে দুই বাংলাকে আবার একত্রিত করা হয়েছিল। বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদের পক্ষে তার এই শক্ত অবস্থান কবিকে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবির মর্যাদা দান করেছে। কোটি বাঙ্গালীর হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন তার অসাধারণ সব কর্মের মাধ্যমে।

কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ সালের ৭ই মে পশ্চিম বঙ্গের রাজধানী কালকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তিনি কোন প্রাথাগত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করেননি, গৃহ শিক্ষকের কাছেই পড়াশোনা করেছেন। তার কবি প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায় শিশু বয়স থেকেই। মাত্র আট বছর বয়স থেকেই কবি লেখালেখি শুরু করেন। ১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় তাঁর "অভিলাষ" কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তাঁর প্রথম প্রকাশিত রচনা।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মাত্র ১৭ বছর বয়সে ইংল্যান্ড ভ্রমন করেন। তার জীবনে তিনি অসংখ্য বার পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পারস্পারিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য ভ্রমন করেছেন। কবি ১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন কন্তু ১৯০২ সালে তাদের একসাথে পথচলা থেমে যায়। তারপর তিনি কলকাতার শান্তিনিকেতন ব্রহ্মচর্যাশ্রমে পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন।

১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলী কাব্য গ্রন্থের জন্য কবি এশিয়দের মধ্যে সর্বপ্রথম সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। ইংরেজিসহ পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় গীতাঞ্জলী কাব্যগ্রন্থটি অনুদিত হয়। দীর্ঘ ছয় বছরের আন্দোলনের পর ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ আইন রদ করা হয়। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন।

আরও পড়ুন:-

কপিরাইট © ২০১৮ রংতুলি চয়েস ইনফো